সৈকতে পর্যটকদের তেমন উপস্থিতি নেই। তবে শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা লক্ষ্য করা গেছে। ছবি- ঢাকা পোস্ট

ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের রুম রয়েছে ফাঁকা। ফলে অলস সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে পর্যটকদের তেমন উপস্থিতি নেই। তবে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের উপস্থিতি একদম শূন্যের কোটায় বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

আবাসিক হোটেল সাগরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ সাগর জানান, একদিকে অসহ্য গরম অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে আশানুরূপ পর্যটক হয়নি কুয়াকাটায়।

কুয়াকাটা সৈকতে চশমা বিক্রি করা নজরুল বলেন, গত দুই দিন ধরে পর্যটকদের উপস্থিতি একদম নেই বললেই চলে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৬০০ টাকা বিক্রি করেছি। পর্যটকদের পাশাপাশি আমরাও ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে রয়েছি।

মাছ ফ্রাই বিক্রেতা কাওসার বলেন, গত তিন দিন ধরে তেমন কোনো বিক্রি নেই আমাদের। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পর্যটক আসছে না। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও চোখে পড়ার মতো পর্যটক নেই কুয়াকাটায়।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পর্যটকদের তেমন উপস্থিতি নেই কুয়াকাটায়। তবে যারা এখনও কুয়াকাটায় রয়েছে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে টোয়াক। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা প্রদানে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। কুয়াকাটার সব বড় হোটেলগুলোকে পর্যটক ও স্থানীয়দের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এমজেইউ