ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে মোংলা বন্দরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের চারটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করেছে। শুক্রবার (১২ মে) রাতে মোংলা বন্দরের ৭ ও ৮ নম্বর জেটিতে জাহাজ চারটি নোঙর করে।

জাহাজ চারটি হচ্ছে- নৌবাহিনীর ‘বিএনএস বঙ্গবন্ধু’ ও ‘বিএনএস স্বাধীনতা’ এবং কোস্টগার্ডের ‘তাজউদ্দিন’ ও ‘সৈয়দ নজরুল’ জাহাজ।

শনিবার (১৩ মে) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহিন মজিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে জাহাজগুলো নোঙর করা হয়েছে। দুর্যোগ কেটে গেলে পুনরায় এসব জাহাজ তাদের গন্তব্যে ফিরে যাবে। এদিকে মোখা উপলক্ষ্যে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উপকূল রক্ষাবাহিনী।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড মোংলা জোন কর্তৃপক্ষ। উপকূলবাসীকে রক্ষার্থে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কর্মকর্তা ও নাবিকদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়োজিত করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ, সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়ার পাশাপাশি কোস্টগার্ড স্টেশনে আশ্রয় প্রদান করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্টগার্ডের সকল জাহাজ, বোট, স্টেশন, আউটপোস্ট এবং ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড রেসকিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতোমধ্যে কোস্টগার্ডের মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক বিশেষ কন্ট্রোল রুম-০১৭৬৯৪৪৪৯৯৯ পরিচালনা করা হচ্ছে। 

এমজেইউ