পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থানকারী পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সেখানকার আবাসিক হোটেলগুলোকে আশ্রয়স্থল হিসাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়টি। মূলত এ কারণেই উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে। 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, প্রতি বছরই উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমরা ঝুঁকিপূর্ণ সময়টাতে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলগুলোকে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। তাই এবারও সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে সবাই হোটেলগুলোতে আশ্রয় নেবে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে দিকে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে ২০২৩ সকাল ০৬ টা থেকে সন্ধ্যা ০৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ রাত সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে। এর প্রভাবে কলাপাড়াসহ উপকূলীয় এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় বর্তমানে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটায় যে হোটেলগুলো রয়েছে সেগুলো কর্তৃপক্ষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঘোষণা করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। বর্তমানে কুয়াকাটায় যেসব পর্যটক রয়েছে তাদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। পর্যটক বা স্থানীয় কোনো মানুষ যেন সৈকতে না নামে সেদিকেও আমরা নজর রাখছি।

কেএ