অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শরীয়তপুরের ইব্রাহীমপুরের নরসিংহপুর-চাঁদপুর নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) রাত ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।

ফেরি চলাচল বন্ধের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন।

জানা যায়, সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৫টায় ফেরি কাকলি নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এরপর আর কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি মেঘনা নদীর এই নৌ রুট দিয়ে। হঠাৎ করে রাত ৮টায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন ছোট বড় প্রায় ১০টি মালবাহী ট্রাকের চালকরা। 

ট্রাক চালক তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদারীপুর থেকে চট্টগ্রামে যাব। এখানে এসে হঠাৎ করে জানতে পারলাম ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাত হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছি। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ পুলিশের মাধ্যমে আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।

নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নরসিংহপুর-চাঁদপুর নৌ রুটটি বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৮ ও ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতাধীন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৮টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া অবধি ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

নরসিংহপুর ফেরিঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক মো. খুরশিদ আলম শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, হঠাৎ করে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ট্রাকের চালক বিপাকে পড়েছেন। ট্রাকচালকসহ ট্রাকের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই রুট দিয়ে যেন কেউ না আসেন। আমরা এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি মনোহর মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ গাড়িগুলোকে ভিন্ন রুট ব্যবহার করতে অনুরোধ করছেন।

নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় পাঁচটি ফেরি। এর মধ্যে রয়েছে রো রো ফেরি ডা. গোলাম মাওলা ও মাঝারি আকৃতির ফেরি কাকলি, ফেরি চেতুকি, ফেরি কুমারী, ফেরি কামিনি, ফেরি কিশোরী।

আরএআর