ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সৈকতের বালিয়াড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। উপকূলবর্তী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শুকনা খাবার মজুত, মেডিকেল টিম ও উদ্ধারকর্মীসহ সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলের মহিপুর বন্দরে ফিরেছে প্রায় তিন হাজার মাছ ধরার ট্রলার।

তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুয়াকাটা সৈকতের কোলঘেঁষা দুটি ধর্মীয় উপসনালয় মসজিদ ও মন্দির। উপাসনালয় দুটির জানমালের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।

মসজিদ

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) দুপুরের পর থেকেই সমুদ্রে পানি বাড়তে থাকে। আর তাই দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন উপসনালয় দুটির দায়িত্বরত ধর্মীয় কর্তারা।

পর্যটক ব্যবসায়ী লিটন খান বলেন, দিন দিন সৈকত ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নানা স্থাপনা ও বনাঞ্চল। সরকারিভাবে যদি কুয়াকাটার মসজিদ ও মন্দিরের সামনে স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয় তাহলে নিরাপদ থাকবে এই ধর্মীয় উপাসনালয় দুটি।

মন্দির

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা সৈকতের সবচেয়ে কাছের দুটি ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ ও মন্দির। ঘূর্ণিঝড়ে পানির স্রোত বাড়লে যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে উপাসনালয় দুটি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসন মোখা মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। তবে কুয়াকাটা সৈকতের কোলঘেঁষা দুটি ধর্মীয় উপাসনালয় কিছুটা ঝুঁকিতে আছে। এই উপাসনালয় দুটি রক্ষা করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।

এসএম আলমাস/এসএসএইচ/