ঘূর্ণিঝড় মোখার কিছুটা প্রভাব পড়েছে দেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনায়। সকাল থেকেই মাঝারি থেকে হালকা বাতাস বইছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। জেলায় বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। তবে মহাবিপদ সংকেত থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না মানুষ।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১৪ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ১৯-এ বলা হয়েছে-চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।

এ কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত ও চট্রগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বরগুনা পায়রা সমুদ্রবন্দরের অধীনে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা এরইমধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। আজ (১৪ মে) বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ এটি অতিক্রম সম্পন্ন করবে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন,  দূর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাড়ে ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক সারা জেলায় কাজ করছে। জেলা প্রশাসন ও রেডক্রিসেন্ট থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। আশা করছি তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এই ঝড় আমরা মোকাবিলা করব।

খান নাঈম/এবিএস