খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ১৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে বাছাইকালে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। 

সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২ জনের এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিন দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন।  

এর আগে ৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে চারজনের মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়। সব মিলিয়ে বাছাইয়ে ১৮ জনের মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ফলে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মোট ১৭৭ জনের মনোয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদে তিনজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৭ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীকে সমর্থন করা ৩০০ জন ভোটারের নাম ও তাদের স্বাক্ষর দিতে হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, এস এম শফিকুর রহমান ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম ভোটারদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জমা দেন। সে কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের দুই প্রার্থী হলেন- সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাসিমা আক্তার কাজল ও সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মোসা. মাসুদা খানম।

এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরা হলেন-  ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাহিদুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. দেলোয়ার হোসেন মাতব্বর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জামান মোল্লা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হুমায়ুন কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হাবিবুর রহমান, শেখ রেজা ও মো. ময়েনউদ্দীন শেখ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইউসুফ আলী খান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাকির হোসেন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. অহিদুল ইসলাম, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আমিনুল্লাহ বাহার ও  ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শমশের আলী মিন্টু।                  

তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ২৬ মে। আর আগামী ১২ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার। ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোট কক্ষ থাকবে এক হাজার ৭৩২টি।

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর