নিহত সেনাসদস্য তৌহিদুল ইসলাম

বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় নিহত সেনাসদস্য তৌহিদুল ইসলামের মরদেহ রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জেলার বাগমারা উপজেলার নরদাশ গ্রামে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে বিকেল ৫টায় নরদাশ কলেজ মাঠে তৌহিদুলের জানাজা পড়ানো হয়। জানাজায় পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেয়। এর আগে বিকেলে তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে কান্নার রোল পড়ে যায়। মা নাসিমা বেগম ছেলের মরদেহের পাশে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছেলের মৃত্যুর খবরে বাবা মহসিন আলী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল বলেন, নিহত তৌহিদুল অত্যন্ত ভদ্র ও বিনয়ী ছিল। সে আমার ছাত্র ছিল। তাকে হারিয়ে তার পরিবার ভেঙে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, নিহতের পরিবারের পাশে সর্বদা আমরা রয়েছি। তাদের সরকারিভাবে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ। 

আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়ি পাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা গাঁড়ার খবর আসে। এই সংবাদ পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মঙ্গলবার (১৬ মে) সেখানে যায়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার নিকটস্থ পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলি বর্ষণের মুখে পড়ে। এতে দুই অফিসার ও দুই সৈনিক আহত হন। আহতদের দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সিএমএইচ চট্টগ্রামে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যান। আহত দুই কর্মকর্তা বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন।

শাহিনুল আশিক/আরএআর