মাস্ক পরায় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট 

করোনাকালে মাস্ক না পরলে জরিমানা করাটা স্বাভাবিক। তবে মাস্ক পরায় রজনীগন্ধা ফুল আর চকলেট দেওয়ার দৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বুধবার (২৪ মার্চ) দিনভর জেলা প্রশাসনের ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে ৯টি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। 

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচাররকরা মাস্ক পরিহিত ব্যক্তিদের হাতে রজনীগন্ধা ফুল আর চকলেট তুলে দেন। আর মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের জরিমানা করেন। হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।  

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে মাস্ক পরিধান না করা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১১০ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ১১০ জনের কাছ থেকে মোট ২১ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট 

জেলার ফতুল্লার শিবু মার্কেট, জালকুড়ি, চাষাড়া মোড়, বন্দরের মদনপুর, শহরের দ্বিগু বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহন, রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং হাট-বাজারে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার, আব্দুল জব্বার, মাহমুদা মাসুম, আজিজুর রহমান, আসমা সুলতানা নাসরিন, হাসান বিন মোহাম্মদ আলী, কামরুল হাসান মারুফ, মাহমুদা জাহান এবং মেহেদী হাসান ফারুক।

এ সময় অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরিহিত সচেতন ব্যক্তিদের রজনীগন্ধা ফুল ও চকলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অন্যদিকে মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ ও জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। তাই মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতন করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে। 

রাজু আহমেদ/আরএআর