বরিশালে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি তাপসের
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরকে আপসারণের বিকল্প নেই বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা একচোখা নীতি অনুসরণ করছেন। তিনি একজন প্রার্থীর বিশেষ আত্মীয়। তার কোনো ভুল তার চোখে পড়ে না। নৌকা প্রার্থী প্রতীক ছাপিয়ে এলাকায় এলাকায় লিফলেট দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময়ের নামে ভোট চাইছেন। আরেক প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন ঘড়ি প্রতীক দিয়ে পোস্টার তৈরি করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এসব রিটার্নিং কর্মকতা দেখেন না। অথচ আমি কোথাও কথা বললেই ডেকে নিয়ে সতর্ক করছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ মে) দুপুরে ১২নং ওয়ার্ডে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
তাপস বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের কোনো কথা শুনতে চান না। আমাদের অভিযোগ আমলে নেন না। আমরা বার বার বলছি তিনি শুনছেন না। বরিশালে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। তিনি নৌকার প্রার্থীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বরিশালে এসেছেন। দেশে অনেক যোগ্য কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের কাউকে দায়িত্ব দিন। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন না করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, বরিশালের ভোটারা ইভিএম চেনে না, জানে না। তাদের ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আমরা এসব কথা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনছেনও না, উপর মহলে জানাচ্ছেনও না। আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকার পরিবেশ পাচ্ছি না। প্রতিদিন নগরীতে বহিরাগতের আনাগোনা বেড়েছে। তাদের আচার-আচরণও স্বাভাবিক নয়। এসব দেখার দায়িত্ব যার রয়েছে তিনি এসব দেখেন না।
গণমাধ্যম ছাড়া আমার কথা বলার কোনো জায়গা নেই। খুব কষ্ট নিয়ে এসব কথা বলতে হচ্ছে। ইকবাল হোসেন তাপস অবিলম্বে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অপসারণ করে নতুন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহসিন উল ইসলাম হাবুল, রফিকুল ইসলাম গফুর, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, ফোরকান আহমদসহ দলীয় নেতারা।
উল্লেখ্য, এর আগেও রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ইকবাল হোসেন তাপস নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে