ধসে পড়ে ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যোতায়াত করছেন লোকজন

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জুঙ্গুরদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কুমার নদের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ ধসে পড়ার পর সংস্কারে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ধসে পড়া ব্রিজের ওপর দিয়েই অনেকে চলাচল করছেন। 

জানা গেছে, ধসে যাওয়া অংশে বাঁশ দিয়ে পাটাতন তৈরি ও হাতল লাগিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করছে। ঘটনার সাত দিন পার হলেও ব্রিজটি সংস্কার না করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে সংস্কার কিংবা যোগাযোগ রক্ষায় আপাতত ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

স্থানীয় বাসিন্দা আলমাস জানান, আশির দশকে কুমার নদের ওপর এই বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ব্রিজটি ধসে পড়ে। একাধিকবার বেইলি ব্রিজের স্থানে সিমেন্টের ঢালাই ব্রিজ নির্মাণের জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেও কোনো লাভ হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা আনিস বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছে স্থানীয়রা। ধসে পড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে বাঁশ ফেলে জরুরি প্রয়োজনে পারাপার হতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষদের।

ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার রুমী বলেন, ব্রিজটি ধসে পড়ার পর সেখানে নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত নির্দেশনা পেয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ সকালে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় জুঙ্গুরদি বাসস্ট্যান্ড ও নগরকান্দা সদরের মধ্যবর্তী কুমার নদের ওপর স্থাপিত বেইলি ব্রিজটি অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পারায় ধসে পড়ে। ধাওয়াপাড়া থেকে বালুবাহী ১০ চাকার একটি ট্রাক বেইলি ব্রিজে ওঠে। এরপর অপর প্রান্তে যাওয়ার আগেই ট্রাকসহ বেইলি ব্রিজটি ধসে পড়ে।

আশির দশকে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ধসে যাওয়ায় ফরিদপুর-নগরকান্দা-মুকসুদপুর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে ছোট যানে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন ভুক্তভোগীরা।

বি কে সিকদার সজল/এসপি