কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই মামলার প্রধান আসামি মো. সেলিমকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাথর উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে করিমগঞ্জ থানা প্রাঙ্গনে প্রেস ব্রিফিংয়ে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মে) মধ্যরাতে পাশ্ববর্তী গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার পাগাড় এলাকার ফকির মার্কেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তারকৃত মো. সেলিম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা কাঁঠালিয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, রোববার রাতে নিকলী উপজেলার মজলিশপুর এলাকা থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার খয়রত এলাকায় যাওয়ার কথা বলে শরীফের অটোরিকশাটি ভাড়া নেন সেলিমসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজন। পরে করিমগঞ্জ উপজেলার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের করিমগঞ্জ-নিকলী সংযোগ (নলীন) সেতুর নিকটে এসে শরীফকে জোরপূর্বক সেতুর নিচে নামিয়ে মাথায় পাথর চাপা দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত শরীফের পিতা মতিউর বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওসি আরও জানান, এরপরেই হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাথর উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার সেলিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ মে) সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের করিমগঞ্জ-নিকলী সংযোগ (নলীন) সেতুর নিচ থেকে নিহত শরীফ এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শরীফ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লী গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে।

এবিএস