গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন চলছে। তবে ইভিএমের ধীরগতিতে তৈরি হচ্ছে লম্বা লাইন। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন ভোটাররা। 

বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কথা হয় ভোট দিতে আসা নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে লাইনে ২০-২২ জনের পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম। দুই ঘণ্টা পরও আমি ভোট দিতে পারিনি। ভোট দিতে অনেক বেশি সময় লাগছে।

একই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বাসন গ্রামের নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোট দেওয়ার সময় তিনটি প্রতীক আসে, মেয়র প্রার্থীকে ইচ্ছেমতো ভোট দেওয়ার পর সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট দিতে পারিনি। এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পোলিং কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

শহরের শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে একেবারে মূল ফটক থেকে বুথ পর্যন্ত ভোটারদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কেন্দ্রের ভেতর ভোটারের বাইরে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের ব্যাজ লাগিয়ে অবাধে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এ বিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রের ৯টি বুথের মধ্যে ৩টিতে সকালে ইভিএমে জটিলতা দেখা দেয়।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক মিনিটের মধ্যে টেকনিশিয়ানরা সমস্যার সমাধান করেছেন। যদিও পরে অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে ধীরগতি দেখা যায়।

মোগরখাল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩ হাজার ২৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ৭৫৬ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। কেন্দ্রে ১০টি বুথে ভোট হচ্ছে। এ পর্যন্ত কয়েকটি ইভিএমে জটিলতা দেখা যায়। এতে কিছু ভোট নেওয়া বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন ইভিএমের টেকনিশিয়ান।

তিনি আরও বলেন, ভোটারের তথ্য মেমোরি কার্ডে সংরক্ষিত থাকে, অনেক সময় তা রিড করতে পারে না, তাই কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ইভিএম বন্ধ করে চালু (রিস্টার্ট) করা হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

তবে এরই মধ্যে ভোটারের লম্বা সারি তৈরি হয়। বুথের সামনে গেট বন্ধ করে দু-চারজন করে ভেতরে ঢোকার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে গরমে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ভোটারদের।

শিহাব খান/আরকে