উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক। রোববার (২৮ মে) শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়রপ্রার্থী মুশফিকের আইনজীবী এসএম মাহবুবুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য এসএম শফিকুর রহমানের পক্ষে রিট করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত তার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি উচ্চ আদালতে গিয়েছিলাম। আজ রায় আমার পক্ষে এসেছে। আমি এখনও ঢাকায় রয়েছি। খুলনা ফিরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যাব।  

পছন্দের প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পছন্দের প্রতীক ঘড়ি প্রতীক। তিনি ঘড়ি প্রতীক পাবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন। 

এবারের সিটি নির্বাচনে ৫ জন মেয়রপ্রার্থী, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ প্রার্থী রয়েছেন। 

এর আগে গত ১৮ মে ৩০০ ভোটারের  সমর্থনকারীদের সমর্থনে তথ্য ভুল থাকায় মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ে মুশফিকের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। এরপর ২৩ মে আপিল শুনানিতে মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। পরে উচ্চ আদালতের আপিল করেন এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।

উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।  ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

মোহাম্মদ মিলন/আরকে