সদর উপজেলা উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বাসু বাজার পশ্চিম হাসন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটির প্রস্তুতি সভা

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিনই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বিতর্কিত বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে আওয়ামী লীগ নেতা নয়ন বলেন, ‘উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের যে নয়টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা না বলেছেন। কারা কারা মনে করেন যে থাকবে না, হাত তুলে দেখান। এ সময় নেতাকর্মীরা হাত উঠিয়ে তুলে দেখিয়েছেন। তিনিও বলেন অন্য প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বাসু বাজার পশ্চিম হাসন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুর উদ্দিন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে আরিফ হোসেন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ছিঃ, এখন তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জাতীয় পার্টি একটা দল হলো, যে এসব করতে হবে।’

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ১১ এপ্রিলের নির্বাচনের আওয়ামী লীগের বিপক্ষে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ফায়িজ উল্যাহ শিপন লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নৌকা ও লাঙলের প্রার্থীরা সংসদীয় এলাকায় প্রচারণায় নেমেছেন।  

এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির নেতা ফায়িজ উল্যাহ শিপন বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছেন। কিন্তু পারেননি। এখন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন।

উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমরান হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন বেলাল, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও জিয়াউল করিম নিশান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জোটগত কারণে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টি থেকে মোহাম্মদ নোমান নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। সেখানে কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় কুয়েতে পাপুলের চার বছর কারাদণ্ড হয়। এতে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পদশূন্য ঘোষণা করা হয়।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এএম