সাভারের আশুলিয়ার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণসভায় গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা স্মৃতিচারণ করেন। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

স্মরণসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা ভাবতাম ডা. জাফরুল্লাহ হয়তো বেশি দিন বাঁচবেন না। আমরা ভয়ে থাকতাম। কারণ উনি অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু আমরা ভুল ছিলাম, কারণ উনি এখনো অনেকের চেয়ে তীব্রভাবে বেঁচে আছেন তার কাজের মধ্য দিয়ে, তার কর্মের মধ্যে দিয়ে। 

তিনি আরও বলেন, আমার জীবনের আইডল জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আমি কোনো দিন কাউকে এ কথা বলিনি, তবে আজ বললাম। সত্যিই আমার জীবনের আইডল উনি। কারণ উনি ক্রিয়েটিভ ছিলেন, উনি প্রতিবাদী ছিলেন। উনি যেভাবে প্রতিবাদ করতেন সমাজের কেউ তা করতেন না। এতো বিগ্রহ এতো জটিলতার মাঝেও উনি প্রতিবাদ করে গেছেন। উনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

গণবিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ব্যক্তিগত মালিকানা বিশ্বাস করতেন না। তিনি সামাজিক মালিকানা বিশ্বাস করতেন। তাই তিনি যতগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সবই সামাজিক মালিকানা। তার কোনো প্রতিষ্ঠানই ব্যক্তিগত নয়, পারিবারিক নয়। তিনি হাসপাতাল, ফার্মাসিউটিক্যালস, বিশ্ববিদ্যালয়, পত্রিকাসহ তিনি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান করেছেন।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টি বোর্ডের উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, সাবেক সচিব ওয়ালিউল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কনা চৌধুরী, সন্ধ্যা রায় ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ট্রাস্টি ডা. মঞ্জুর কাদির। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন পারভীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরী।  

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর