দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ভোগান্তির শিকার চালক ও যাত্রীরা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটি ও ফেরি স্বল্পতার কারণে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। রয়েছে ফেরিঘাটের সংকটও।

তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি কমাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কের ওপর নদী পারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে চার শতাধিক যানবাহন ও গোয়ালন্দমোড় এলাকায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গোয়ালন্দ মোড়ে থেকে জুট মিল পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মহাসড়কে তিন শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় যানজটে আটকে আছে।

জানা যায়, তিন-চার দিন আগের যানবাহনও ফেরি পারের অপেক্ষায় মহাসড়কে আটকে আছে। ফেরি পার হতে না পারায় যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। দুটি ফেরি চার দিন ধরে বিকল হওয়ায় এবং অন্য নৌরুটে দুটি স্থানান্তরের কারণে ফেরির সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে ১৮টি ফেরির স্থলে ১৩টি চলাচল করছে। ৬টি ফেরিঘাটের মধ্যে চালু রয়েছে ৩টি।

তারা জানান, দৌলতদিয়া ফেরি পার হতে তিন থেকে চার দিন ধরে গোয়ালন্দ মোড় এলাকা ও দৌলতদিয়া মহাসড়কে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। ফেরি ও ফেরি ঘাটসংখ্যা কমে যাওয়ায় তারা মালামাল নিয়ে ফেরি পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। আজ ছুটির দিনের কারণে যানবহনের চাপ আরও বেড়েছে। কখন নদী পার হতে পারবেন, তা যানেন না চালক ও যাত্রীরা।

দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি সহকারী ঘাট ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, কাঁচামাল ও অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলো সিরিয়ালে পার করার কারণে যানজট লেগে যায়। আজ ১৮টি ফেরির স্থলে ১৩টি ফেরি দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ