বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনসহ ১৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই শোকজ নোটিশ জারি করা হয়।

বরিশাল মহানগর বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে, কামরুল আহসান রুপন ছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, শাহ আমিনুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম হাওলাদার, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমীন সামাদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিনা বেগম, রাশিদা পারভীন, জাহানারা বেগম, নগর বিএনপির সাবেক সহ-শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী মনিরুল ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ শাহীন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আবদুল্লাহ সাদি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে খায়রুল মামুন রয়েছেন এই তালিকায়।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপে এই নোটিশ পান বলে নিশ্চিত করেছেন কামরুল আহসান রুপন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দল থেকে আগে আমাকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ২৬ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি থেকে কোনো ধরনের বার্তা দেওয়া হয়নি। বিএনপি বার্তা দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতাম না। যেহেতু আমাকে শোকজ করা হয়েছে আমি এর লিখিত জবাব দেব।

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো আওয়ামী সরকারের অধীনে সকল নির্বাচন বর্জন করেছে। অথচ কতিপয় নেতাকর্মীর বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া কষ্টের বিষয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও একই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বরিশালেও তার ব্যত্যয় হবে না।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ