ভোটারদের প্রভাবিত করতে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী মাঠ। শনিবার (৩ জুন) সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, বানরগাতি বাজার ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এ অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু।  

অন্যদিকে নগরীর বানরগাতি বাজার, মেটে পোল, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কোনো কালো টাকার ছড়াছড়ি নেই।

জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শূন্য আমার কোনো টাকা নেই। অনেক দলের দেখছি প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০-৩০০ লোক নির্বাচনী কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের বাজেটে এ খরচ সম্ভব নয়। এই টাকার উৎস কোথায়, নাকি তারা আলাদিনের চেরাগ খুঁজে পেয়েছে। এটার সঠিক তদন্ত করা উচিত।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে। অনেক লোক লাগানো আছে। মাথা খারাপ হয়ে গেছে তার। এই নির্বাচনে যেভাবে হোক তার জিততেই হবে। এটার সঠিক তদন্ত করা উচিত। আমি বলছি সে তো বড় ভাই, এবার আমারে ছেড়ে দিক। এখন আধুনিক যুগ। এখন বয়স হয়ে গেলে মানুষ একটু এলোমেলো হয়। আমার তো অত বয়স হয়নি। আমি তালুকদার আব্দুল খালেককে বলবো আমারে যেন এবার ছেড়ে দেয়। আওয়ামী লীগ যেন আমারে ভোট দেয়। দেখি কীভাবে সিটি কর্পোরেশন চালানো যায়। আমরা একটু দেখি না সকলে মিলে।  

কালো টাকা নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, খুলনায় কোনো কালো টাকার ছড়াছড়ি নেই। কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। আমিতো খুলনা শহরে উন্নয়নের কাজ করেছি। টাকার দরকার নেই। মধুর মতো প্রার্থীর পক্ষেই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা সম্ভব। উনাদের কাছে টাকা থাকলে ছড়াতে পারে। আমি কোনো কালো টাকা-পয়সা ছড়াছড়ির মধ্যে নেই।

অপরদিকে নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার, নিউ মার্কেটসহ ২৭ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন হাতপাখার প্রার্থী আব্দুল আউয়াল। তিনি বলেন, ভোটাররা কালো টাকা ও পেশীশক্তির দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের বিবেচনা অনুযায়ী সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবে।    

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর