গরমে সুপেয় ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করলেন মেয়র
নষ্ট ফ্যান মেরামত করতে জেলা শহরে এসেছিলেন মোজাফফর হোসেন। তীব্র তাপ ও অতিরিক্ত গরমে তার হাঁসফাঁস অবস্থা। শরীর থেকে ঝরছে ঘাম, শুকিয়ে যাচ্ছে গলা। এ অবস্থায় তিনি দ্রুত সুপেয় ঠান্ডা পানির স্টলে এসে সারি সারি রাখা দুই গ্লাস লেবুর শরবত পান করেন। এতে কিছুটা ক্লান্তি দূর হয় তার।
শুধু মোজাফফরই নয়, এমন অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা খেটে খাওয়া সব মানুষের। কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত তাদের প্রাণ। গত কয়েক দিনের গরম ও অতিমাত্রার দাবদাহে জনজীবন দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে কর্মজীবী মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন, দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তাদের জীবনযাত্রা।
বিজ্ঞাপন
অসহ্য গরমে কষ্টে থাকা মানুষের জন্য সুপেয় ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করেছেন জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। বুধবার (৭ জুন) সকাল থেকে জয়পুরহাট জেলা শহরের জিরো পয়েন্ট মসজিদ মার্কেটের সামনে শুরু হয়েছে এর কর্যক্রম। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঠান্ডা পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সুপেয় ঠান্ডা পানির স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, রিকশাচালক, অটোচালক, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ, শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন স্টলে। তারা এসে সারি সারি রাখা লেবু পানি ও স্যালাইন গ্লাসে নিয়ে পান পান করছেন।
মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, এই উদ্যোগ খুবই ভালো। এতো গরমের ভেতর ফ্রিতে লেবু-স্যালাইন পানি পাওয়া গেছে। ঠান্ডা পানি পান করে অনেক ভালো লাগছে। ঠান্ডা পানি পানের পর শরীরের ক্লান্তিও দূর হচ্ছে। এতে আমি অনেক সন্তুষ্ট হয়ছি।
এক রিকশা চালক বলেন, রোদের ভেতর রিকশা চালিয়ে শরীর ক্লান্ত হচ্ছে। একটু বাতাসও নেই। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। জিরো পয়েন্টে যাত্রী নেমে দিয়ে আমরা পানি পান করছি। এতে অনেক ভালো লাগছে।
জয়পুরহাট পৌরসভার কনজারভেনসি সুপার ভাইজার সুব্রত কুমার দেব বলেন, এই গরমে জনজীবন বিপর্যয় নেমে এসেছে। এমন অবস্থায় মেয়র মহোদয় উদ্যোগ নিয়ে মানুষের জন্য ঠান্ডা পানি পানের ব্যবস্থা করেছেন। এখানে লেবু পানি ও স্যালাইন পানি রাখা হয়েছে।
চম্পক কুমার/আরএআর