ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসা ছাত্রদের বিক্ষোভের সময় সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাত থেকে শনিবার (২৭ মার্চ) ভোর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটকদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন মাদ্রাসাছাত্ররা। তারা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা সদরের ভাদুঘর এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।

বিকেল ৪টার দিকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। এরপর তারা অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় ৭ ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বিকেল ৫টার দিকে রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়িতে হামলা চালান বিক্ষুব্ধরা। তারা পাথর নিক্ষেপ করেন ফাঁড়িতে।

এ সময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। 

এ বিক্ষোভের ঘটনায় আশিক (২০) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তিনি জেলা সদরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার ছেলে। এ ছাড়াও এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২ নম্বর ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি