তীব্র দাবদাহে যেমন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তেমনি সংকটাপন্ন প্রাণিকুলও। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ময়মনসিংহ নগরীতে বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকা) আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিরা আহাজারি করে মহান আল্লাহর করুণা প্রার্থনা করেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ইস্তিসকার নামাজের আয়োজন করে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী। 

আগের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ এ নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য প্রচারণা চালায় সংগঠনটি। সেই প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই ছোট থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সী কয়েক হাজার মানুষ হাজির হন আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। নামাজের আগে চলে দীর্ঘ বয়ান। এরপর নামাজের ইমামতি ও পরে দোয়া পরিচালনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ারুল হক। নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন মুসল্লিরা।

মুসল্লিরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ময়মনসিংহে তাপদাহে পুড়ছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ঘরে-বাইরে সবখানেই বিরাজ করছে অস্বস্তি। রোদে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছে কর্মজীবী মানুষ। এই তীব্র গরমে আল্লাহ তায়ালার করুণা ছাড়া বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লার কাছে বৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।

ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী বলেন, নবী করিম (সা.) তার জীবদ্দশায় এমন আবহাওয়া ও অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ যখন কষ্টে থাকতো তখন সাহাবায়ে কেরামদের সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় ও দোয়া করতেন। আল্লাহ তায়ালা বৃষ্টি দিতেন। আমরা সেই সুন্নাতের ওপর আমল করলাম এবং বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলাম। 

উবায়দুল হক/আরএআর