তীব্র লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের জনজীবন। জেলার কোনো কোনো এলাকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩ ঘণ্টাই থাকছে বিদ্যুৎবিহীন। ফলে প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) গ্রাহকরা। এমন পরিস্থিতিতে ওজোপাডিকো কার্যালয়ে গ্রাহকদের হামলার আশঙ্কা থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দিয়েছে ওজোপাডিকো কতৃপক্ষ।

বুধবার (৭ জুন) ওজোপাডিকো দপ্তরে যে কোনো প্রকার হামলা, নাশকতা ও অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা চেয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন সাক্ষরিত এক চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দেশব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতি থাকায় চাহিদাকৃত লোড বরাদ্ধ কম পাওয়ার প্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে অত্র দপ্তরের বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। গোপালগঞ্জ পৌরসভার ওজোপাডিকো এলাকায় চাহিদাকৃত লোড ১৫ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় জাতীয় গ্রিড হতে বরাদ্ধ কম পাওয়া গেলে পৌরসভার কিছু অংশে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পরিচালনা করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতি ও প্রচন্ড তাপদাহের ফলে সৃষ্ট লোডশেডিং পরিস্থিতিতে যে কোনো প্রকার নাশকতা এড়ানোর লক্ষ্যে ওজোপাডিকো, গোপালগঞ্জ দপ্তরের স্থাপনা ও ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য পুলিস ফোর্স মোতায়েন বা স্থাপনাটি পুলিশ টহল রুটে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের দপ্তরসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিরাপত্তা চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছি। আপনারা জানেন বেশকিছু দিন ধরে চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় শহরে লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে গ্রাহকদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গ্রাহকরা ক্ষুব্দ হয়ে আমাদের অফিসে হামলা করতে পারে। তাই দপ্তরসহ নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

আশিক জামান/এবিএস