চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে উদ্বোধনের পরদিনই কমেছে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম বুকিংয়ের পরিমাণ। শুক্রবার (৯ জুন) নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর বিকেল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায় আম পরিবহনের জন্য বিশেষ এই ট্রেন। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন।

উদ্বোধনের পরদিনই কম আম বুকিং হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. ওবাইদুল্লাহ ও রহনপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রহনপুর রেলস্টেশনে চলতি বছরের ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের দ্বিতীয় দিনে আম বুকিং হয় মোট ১১ হাজার ১৬৪ কেজি আম। অথচ উদ্বোধনী দিনে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এই দুই স্টেশনে আম বুকিং হয়েছে ১২ হাজার ৬৪৫ কেজি।

প্রথম দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে বুকিং হয় ৭ হাজার ৮৮৭ কেজি এবং এ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ হাজার ৫১৩ টাকা। যা দ্বিতীয় দিনে কমে ৬ হাজার ৬৭৯ কেজি হয়েছে এবং রাজস্ব আয় হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৮ টাকা। অন্যদিকে, রহনপুর রেলস্টেশনে উদ্বোধনী দিনে ২১৫ ক্যারেটে ৪ হাজার ৭৫৮ কেজি আম বুকিংয়ের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয় ৬ হাজার ২৯৫ টাকা। বৃহস্পতিবার এই স্টেশনে আম বুকিং হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৫ কেজি, রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ হাজার ৭২৮ টাকা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. ওবাইদুল্লাহ বলেন, কী কারণে আম বুকিং কমেছে তার সঠিক কোনো কারণ জানা নেই। তবে চলতি বছর ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ার আগে থেকেই দফায় দফায় মাইকিং করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করেছে রেল বিভাগ।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আম বুকিংকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে আম বুকিং করা হচ্ছে। ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে শুধু আম নয়, আমের সঙ্গে শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও পরিবহন করা যাবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে রাজধানী ঢাকাগামী ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কেজি প্রতি ১ টাকা ৩২ পয়সা ও রাজশাহী থেকে ১ টাকা ১৭ পয়সা খরচে আম পরিবহন করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে রাজধানীগামী ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয় ২০২০ সালের ৫ জুন। ওই বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত চলা ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম পরিবহন হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২ কেজি। এতে রাজস্ব আয় হয় ২ লাখ ১১ হাজার ৪৫৮ টাকা। দ্বিতীয়বারের মতো ২০২১ সালের ২৭ মে ট্রেনটি চালু করা হয়। সেই বছর আম পরিবহন করা হয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৩ কেজি। রাজস্ব আদায় হয় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯২০ টাকা। সর্বশেষ গত বছর এই ট্রেনে মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৫৫ কেজি আম পরিবহন করা হয়। এতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৪ টাকা আয় হয়েছিল।

জাহাঙ্গীর আলম/এবিএস