‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পড়াশোনা ও খেলাধুলার বিকল্প নেই’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পড়াশোনা ও খেলাধুলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে নোয়াখালীর চাটখিলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনুর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তিনি বলেন, সমাজে মাদকের বিরুদ্ধে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মাদককে ঠাঁই দেওয়া যাবে না। খেলাধুলা তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখে। তাই খেলাধুলার বিকল্প নেই। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পড়াশোনা ও খেলাধুলার বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, আজকের তরুণরা আগামী বাংলাদেশের কাণ্ডারি। সেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে তরুণদের প্রস্তুত হতে হবে। শিক্ষা-দীক্ষায়, খেলাধুলায় হতে হবে সেরা। একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে। আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
সকল শিক্ষার্থীদের মাঠে খেলাধুলা করতে আহ্বান জানিয়ে এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনুর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলায় খিলপাড়া ইউনিয়নকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাঁচগাঁও ইউনিয়ন।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জ্বল রায়, চাটখিল পৌরসভার মেয়র ভিপি নিজাম উদ্দিন, পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহামুদ হোসেন তরুণ, খিলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোনাইমুড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনুর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এইচ এম ইব্রাহিম।
এ সময় তিনি বলেন, সব অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়, এটি একটি অযথা উপহার। ঘরে সাজিয়ে রাখা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। আবার কিছুদিন পর এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফেলে দিতে হয়। কিন্তু বই উপহার দিলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, সবাই বড় বড় ক্রেস্ট দেয়। এগুলোর দামও অনেক। এত দামের বই না দিলেও হবে। অন্তত একটি বই উপহার দিলেও আমি খুশী হব। উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনে রেজুলেশন করে এই নিয়মের পরিবর্তন করতে পারে। আমি সহযোগিতা করবো।
এ সময় তিনি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুলসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/এমজেইউ