ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই মুখ্য। কিন্তু বর্তমান সরকার নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বারবার একটি নিরপেক্ষ জায়গায় পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন নিয়োগ দিচ্ছেন। যারা ইনিয়ে বিনিয়ে জাতিকে ধোকা দিয়ে বারবার প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে চলছে। বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন অতীতের সব নির্লিপ্ততা পেছনে ফেলে ইতোমধ্যে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। 

শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল ৩টা নগরীর বায়তুন নুর মসজিদ উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, খুলনা-বরিশালে অনুষ্ঠিতব্য ডিজিটাল প্রহসনের নির্বাচন ও বিসিসি মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।  

মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, "তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন?" শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বের সঙ্গে চরম বেমানান। এমন বক্তব্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ইতোমধ্যে সিইসি'র এমন বক্তব্যেকে সচেতনমহল পাগলের প্রলাপ বলে অবিহিত করেছেন।

দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সিইসিকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় দেশের জনগণ ব্যর্থ ও অযোগ্য সিইসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগ বিগত সময়ে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সকল অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে যার বাস্তব প্রমাণ খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচন। হাজার হাজার বহিরাগত এনে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচনের পরিবেশকে ব্যাহত করেছে। দেশের গণমানুষের সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও বিসিসি মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করছি। এসব সন্ত্রাসীদের যদি উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।  

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান। নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হুসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিবের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য করেন দলের নগর সহ সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, শেখ নাসির উদ্দিন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, আবু গালিব, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতী আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা আব্বাস আমীন, হুমায়ুন কবির, মুফতি আমিরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, নিজাম উদ্দিন মল্লিক, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, মুফতি ইলিয়াস মঞ্জুরী, শফিউল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সরোয়ার হোসেন বন্দ, আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, শাহিন হোসেন, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মুফতি মইনুল ইসলাম, মাস্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মারুফ হোসেন, হাফেজ খায়রুল ইসলাম, ক্বারী জামাল হেসেন, কাজী তোফায়েল হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মোস্তফা বাঙালি, শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, ইব্রাহিম ইসলাম খান, যুবনেতা মুফতি আবদুর রহমান মিয়াজী, মাওলানা ফজলুল হক, আব্দুর রশিদ, নাজমুল খালিদ সাইফুল্লাহ্, ছাত্রনেতা আবু রায়হান, মইনুদ্দিন, মাহাদী হাসান মুন্না, নাঈম ইসলাম প্রমুখ।  

মোহাম্মদ মিলন/আরকে