রাসিক নির্বাচন
কাউন্সিলরের প্রচার মিছিলে হামলা, নারী আহত
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচার মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় শিখা (৩০) নামের এক নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৬টার দিকে রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডিপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত শিখা নগরীর চন্ডিপুর এলাকার জনির স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। আর ট্রাক্টার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেল।
কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউর রহমান মতি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার পূর্ব নির্ধারিতভাবে প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ঝাউতলা মোড় থেকে চণ্ডিপুরে গেলে জহিরুল ইসলাম রুবেল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পতভাবে আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় আমার প্রায় ২০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। তারা সবাই রামেকে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামেক হাসপাতালে গিয়ে মতির সমর্থক আহত শিখা ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। শিখা রামেকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। তবে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। শিখা দাবি করেন, তার পেটে লাথি মারা হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।
এ বিষয়ে অপর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের ব্যক্তিগত নম্বরে কল করা হলে তার সমর্থক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘রুবেল ভাই ব্যস্ত আছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না।’ তবে ঘটনার পরে কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের কর্মী সমর্থকরা থানার সামনে অবস্থান নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউর রহমান মতির টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে সমর্থকরা প্রচার মিছিল বের করেন। একই সঙ্গে প্রচার মিছিল বের করেন ট্রাক্টার প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেল। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মিছিল চন্ডিপুর প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে কাউন্সিলর প্রার্থী রুবেলের লোকজন মতির প্রচার মিছিলে হামলা চালায়। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থী মতিনের সমর্থকরা প্রতিরোধ করে রুবেলের সমর্থকদের ধাওয়া করে।
নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) কাজল নন্দী জানান, দুই প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ আছে। কোনো প্রার্থী এখনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহিনুল আশিক/আরকে