ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসা ছাত্রদের বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে আহত নুরুল আমিন (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ নিয়ে একই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হলো।

শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় ঘটা ওই সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও ১৩ জন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল আমিন, বাছির মিয়া ও ছাদেক মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাদল মিয়া (২৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), সদর উপজেলার কাউসার মিয়া (২৪) ও জোবায়ের (১৪)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে নন্দনপুর বাজার এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে মোদিবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। আজ দুপুরে নুরুল আমিন নামে আরও একজন মারা গেছেন। ফলে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ জনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রানা নুরুস শামস ঢাকা পোস্টকে জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউসার মিয়া ও জোবায়ের নামে দুজনের মৃত্যু হয়। 

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি/জেএস