আ.লীগ নেতাকে মিষ্টি খাওয়ানোয় মহিলা দল সভাপতিকে শোকজ
ফারহানা ইয়াসমিন তিথি
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষ হলেও এখনও হার্ডলাইনে বিএনপি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার পর এবার নির্বাচনে জয়ীদের সঙ্গে উল্লাস দেখানো নেতাকর্মীদের শনাক্তে কাজ করছে স্থানীয় মনিটরিং টিম।
ইতোমধ্যে রোববার দুপুরে (১৮ জুন) বরিশাল মহানগর মহিলা দলের সভাপতি ফারহানা ইয়াসমিন তিথিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মহিলা দল। জানা গেছে, তিনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না ২০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে বিজয়ী হলে তাকে মিষ্টিমুখ করান।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি হার্ডলাইনে রয়েছে। যেখানে আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি সেখানে নির্বাচনের সঙ্গে কেউ যেকোনোভাবে সম্পৃক্ত হলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা আমাদের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি আর যারা আমাদের আওতায় নেই তাদের বিষয়ে কেন্দ্রকে অবহিত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রমাণাদি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির বহিষ্কৃত ১৯ প্রার্থীর পর নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া এক ডজন নেতাকর্মীর তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলা যুবদলের সভাপতি এএইচএম তছলিম উদ্দিন, তার বড় ভাই জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আহমেদ বাবলু ২০নং ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মহানগর বিএনপির ১নং সদস্য আনম সাইফুল আহসান আজিম, তিনি নিজে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও তার স্ত্রী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টু ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শোকজের বিষয়ে মহানগর মহিলা দলের সভাপতি ফারহানা ইয়াসমিন তিথি বলেন, আমি যে ওয়ার্ডে থাকি সেখানে ক্ষমতাশালীরা খুব প্রভাবশালী। তাদের চাপে বাধ্য হয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছে।
নোটিশের লিখিত জবাব দেবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ন্যূনতম যোগাযোগ রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বরিশাল মহানগর মহিলা দলের সভাপতি আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন, অথচ কর্মীরা নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হননি। আমি মনে করি কেন্দ্র সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত এখনই প্রকাশ করতে চাই না।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ