ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জে ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া মা ও দুই শিশু সন্তানের সন্তানের পরিচয় মিলেছে। তারা শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নে বিলপুর গ্রামের বাসিন্দা রথীন্দ্র দাসের স্ত্রী দুর্লভ রানী দাস (৩০) এবং তাদের দুই সন্তান জবা রানী দাস (৭) ও বিজয় দাস (৫)। তবে এখনো তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 

নিখোঁজের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব। 

তিনি বলেন, ঘটনার দুইজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে পানির তীব্র স্রোতে পড়ে দুই শিশুসহ ওই নারী ভেসে গেছেন। এরপর থেকে এলাকাবাসী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। 

নিখোঁজ দুর্লভ রাণী দাসের স্বামী রথীন্দ্র দাসের বরাত দিয়ে ইউএনও জানান, যখন এই ঘটনা সম্পর্কে জানাজানি হয় তখন রথীন্দ্র দাস নিজের ঘরে গিয়ে স্ত্রী ও বাচ্চাকে পাননি। পরে তিনি নিজে এসে জানিয়েছেন নিখোঁজ নারী তার স্ত্রী ও শিশুরা তার সন্তান। 

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৯ জুন) সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ডুবন্ত সড়ক পার হওয়ার সময় পানির স্রোতে ভেসে যান দুই সন্তানসহ মা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাল্লা সরকারি কলেজ সংলগ্ন সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে। 

শাল্লার মূল সড়কে ওঠার সময় একটি কালভার্টের কাছে ডুবে যাওয়া সড়ক পার হতে গিয়ে দুই শিশুসহ ওই মা পানিতে পড়ে যান। এ সময় প্রবল স্রোত তাদের ভাসিয়ে দাড়াইন নদীর দিকে নিয়ে যায়। ঘটনাটি দেখে পথচারীরা উদ্ধারে এগিয়ে গেলেও ব্যর্থ হন। শাল্লায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ এলাকাবাসী দাড়াইন নদীতে কয়েক ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালানোর পর ব্যর্থ হয়। 

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা নিউটন দাশ বলেন, শাল্লায় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ঘটনাটি রাতে হওয়ায় আমাদের ডুবুরি সেখানে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানোর সুযোগ নেই। সকালে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে ডুবুরি দিয়ে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাবে।

সোহানুর রহমান সোহান/ওএফ