প্রতি বছর ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে নানা আকৃতি ও দামে আলোচনায় আসে বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বিগ বস’।

ছয় বছর ধরে বিদেশি (এলএলসি) জাতের এই গরুটি লালন-পালন করে আসছেন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তালতলা গ্রামের বাসিন্দা আফিল উদ্দীন (৩৫)।

বিগ বস লম্বায় ১০ ফিট ও উচ্চতায় ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি। ৪২ মণ ওজনের গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।

ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের জেলাগুলোতেও সাড়া ফেলেছে এই ‘বিগ বস’। আলোচিত এই গরুটিকে একপলক দেখার জন্য শত শত মানুষ ভিড় করছেন নিয়মিত।

স্থানীয়রা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিজের সন্তানের মতো যত্ন করে গরুটিকে বড় করেছেন আফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী। তাদের দেখে আমাদের এখানকার অনেকেই গরু লালন-পালন করার পরিকল্পনা করছেন।

দূরদূরান্ত থেকেও গরুটি দেখতে আসছেন অনেকে। বিজলি আক্তার নামের এক গৃহবধূ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এত বড় আকৃতির গরু কখনও দেখিনি। তাই বিগ বস নামের গরুটিকে দেখতে এসেছি।

এদিকে, গরুটি কিনলেই ১৬০ সিসির পালসার বা অ্যাপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল উপহার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গরুর মালিক আফিল উদ্দিন।

আফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছয় বছর আগে মাত্র ৯০ দিন বয়সে ২৭ কেজি ওজনের এই বিদেশি জাতের গরুটিকে ক্রয় করি। তখন থেকে রুটিন করে প্রাকৃতিক খাবার ও ফলমূল খেতে দেওয়া হয়। গত বছর এই গরুর দাম ২২ লাখ টাকা বললেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রয় করিনি। এবার আশা করছি কাঙ্ক্ষিত দামে (৩০ লাখ টাকা) বিক্রয় করতে পারব।

বিগ বস গরুটিকে মোটাতাজা করার জন্য কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। ৬ বছর ধরে বিগ বসকে খেসারির ডাল, ভুসি, ছোলা, মসুর ডাল ও খুদি খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়া আপেল, কমলা, আঙুর, কলা ও ডাব খাওয়ানো হয়। এতে বিগ বসের পেছনে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয় বলে জানান গরুর মালিক।

এ বিষয়ে জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে আফিল উদ্দিন একটি বড় গরু লালন-পালন করছেন। আমরা গরুটি দেখভাল করছি। আমাদের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে, সেখানে বিগ বসের ছবি পোস্ট করা হয়েছে, যাতে তিনি গরুটি বিক্রি করতে পারেন।

এমজেইউ