রং মাখানোর দিন
আবির রাঙিয়ে বগুড়ায় দোল পূর্ণিমাতে মেতে উঠেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’ ও ‘দোল পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।
বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া নববৃন্দাবন হরিবাসরে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছর উৎসবটি শুধু পূজা, হোমযজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান।
বিজ্ঞাপন
আবির খেলতে আসা হিন্দু ধর্মালম্বীরা জানান, পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি।
তারা আরও জানান, বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজসহ প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোনো কোনো স্থানে এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়।
এদিকে দোল পূর্ণিমার দিনে হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল বগুড়ায় মন্দিরগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, বগুড়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে দোল পূর্ণিমাতে আবির খেলায় মেতে উঠেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। উৎসব সব রকমের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বগুড়া পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, বগুড়া শহরের বেশিরভাগ মন্দিরে আজ আবির খেলা হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলবে আবির খেলা। শহরের নববৃন্দাবন হরিবাসর মন্দিরে সবচেয়ে বেশি আবির খেলায় মেতে উঠে।
আবির খেলতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা, ঈশা, স্নিগ্ধা, তামান্নারা জানান, কৃষ্ণ তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন। তাই আমরাও দোল পূর্ণিমাতে একে অপরকে আবির মাখিয়ে দিনটি উদযাপন করি।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর