সুনামগঞ্জে ঢলের পানিতে সন্তানসহ ভেসে যাওয়া মা দুর্লভ রানী দাসের (৩০) পর মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের খালিয়াজুড়ি সীমানার হুনাকান্দা নামক স্থান থেকে হবিবপুর ইউনিয়নের বিলপুর গ্রামের রথীন্দ্র দাসের মেয়ে নিখোঁজ জবা রাণী দাসের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এর আগে নিখোঁজের পরদিন মঙ্গলবার (২০ জুন) একই হাওরের মাউথির বিলের পাশ থেকে মা দুর্লভ রাণীর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেয়ে জবা রাণীর মরদেহটি ছায়ার হাওর এলাকায় ভেসে উঠলে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।  এরপর শাল্লা থানা পুলিশ রথীন্দ্র দাসকে সঙ্গে নিয়ে জবা রাণী দাসের মরদেহটি শনাক্ত করে উদ্ধার করে। তবে নিখোঁজ  আরেক শিশু বিজয় দাসের (৫) খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

জবা রাণী দাসের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১৯ জুন) সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ডুবন্ত সড়ক পার হওয়ার সময় পানির স্রোতে দুই সন্তানসহ মা দুর্লভ রাণী দাস ভেসে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাল্লা সরকারি কলেজ সংলগ্ন সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে। 

শাল্লার মূল সড়কে ওঠার সময় একটি কালভার্টের কাছে ডুবে যাওয়া সড়ক পার হতে গিয়ে দুই শিশুসহ দুর্লভ রাণী দাস পানিতে পড়ে যান। এ সময় প্রবল স্রোত তাদের ভাসিয়ে দাড়াইন নদীর দিকে নিয়ে যায়। ঘটনাটি দেখে পথচারীরা উদ্ধারে এগিয়ে গেলেও ব্যর্থ হন। শাল্লায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ এলাকাবাসী দাড়াইন নদীতে কয়েক ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়।

সোহানুর রহমান সোহান/আরএআর