ভাঙচুর করা হয় থানার ফটক

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এদিকে হামলার সঙ্গে জড়িত ৭ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

জানা যায়, শনিবার (২৭ মার্চ) দুুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গা থানার সন্নিকটে জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাঁ মাদরাসা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ভাঙ্গাবাজার ঘুরে বিশ্বরোড এলাকায় যায়।

পরে বিশ্বরোড থেকে ফিরে মিছিলটি ঈদগাঁ মাদ্রাসামাঠে জড়ো হয়। এ সময় মিছিলকারীরা ওই মাঠ থেকে লাঠি সংগ্রহ করে অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ ব্যক্তি থানায় হামলা করে। তারা ভাঙ্গা থানার গেট এবং ভেতরে ঢুকে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

এ সময় তারা থানার দিকে লক্ষ্য করে ইটের টুকরা ছুড়তে শুরু করে। পরে ব্যারাক থেকে পুলিশ এসে শটগানের ৪৫টি গুলি ছুড়ে ৪০ মিনিট পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হামলা ঠেকাতে গিয়ে দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন এসআই মো. শহীদুল্লাহ (৪৭) ও আবুল কালাম আজাদ (৩৫), এএসআই আজিজুল রহমান (৩৩) এবং কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন (৩৫), শাহ জালাল (২৭) ও মতিউর রহমান (৪৩)।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, পরিকল্পিতভাবে থানায় এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যেই হামলার সঙ্গে জড়িত ওসমান বেপারী, সালমান হুসাইন, সুয়াইব মোল্লা, আমজাদ মিয়া, আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমিরুজ্জামান ও রফিকুল আসলামকে আটক করা হয়েছে।

ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জ সফরের পর ভিআইপি ব্যক্তিরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়েই ঢাকায় ফিরবেন। সেটি পণ্ড করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

বি কে সিকদার সজল/এমএসআর