পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে নাড়ির টানে গ্রামের পানে ছুটছে মানুষ। সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা থেকেই যাত্রীর চাপের সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। যানবাহনের চাপ বাড়লেও এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে মহাসড়ক। চোখে পড়েনি যানজট। ড্রোন ক্যামেরায় মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। 

রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা, বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত ৮টায় ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেছেন বিথী আক্তার। তিনি বলেন, সড়কে প্রচুর গাড়ি। যাত্রীও রয়েছে অনেক। তবে সড়কে কোনো ধরনের যানজট নেই। আমি নবীনগর থেকে আরিচা ঘাটে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে গেছি। আজ সব পোশাক কারখানা ছুটি না হওয়ায় যানজট ছাড়াই পৌঁছাতে পারলাম।

বাইপাইল থেকে নেত্রকোণা যাবেন নাজিম উদ্দিন জোহান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রতি ঈদেই বাড়িতে যাই। এ রকম সময়ে অনেক যানজট থাকতো। এবার এখনো যানজট চোখে পড়েনি। সব চেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো আমি পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করতে দেখেছি। পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগ আমার ভালো লেগেছে। এ রকম তৎপর থাকলে আমরা সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিহীন যাত্রা করতে পারবো।

বাইপাইল থেকে পিকআপ ভরে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছেন চালক মুমিনুল। তিনি বলেন, আমি টাঙ্গাইল পৌঁছে গেছি। এখন পর্যন্ত যানজটে পড়িনি। তবে সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগছে।

হানিফ পরিবহনের চালক রাজু বলেন, সড়কে যাত্রীও বেশি, যানবাহনও বেশি। তবে যানজট নেই। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সড়কে গাড়ি চালাচ্ছি। তবে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে একটু সময় বেশি লাগছে। সেখানে যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকে এবং চালকরাও যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করেন। এজন্য বাসস্ট্যান্ডে একটু সময় ব্যয় হচ্ছে। তবে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা (উত্তর) ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরী বলেন, আমরা মহাসড়কে তৎপর রয়েছি। এখন পর্যন্ত মহাসড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করে সমস্যা নির্ধারণ করে সমাধান করছি। আশা করি এবারও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর