আর একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে দলে দলে আসতে শুরু করেছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। দুপুর হতে না হতেই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে পরিবহন সংকট ও বাড়তি ভাড়ার চাপে অনেকটাই দুর্ভোগে পড়েছেন নাড়ির টানে ঘরে ফেরা যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার পর থেকে সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা,  বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে আসা ঘরমুখো যাত্রী সজীব বলেন, আমাদের কারখানা আজ ছুটি হয়েছে। ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে এসে দেখি স্বল্প দূরত্বের কোনো যানবাহন নেই। ফলে বৃষ্টির মধ্যেই হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি যানবাহনের সংকট। ভাড়াও প্রায় তিনগুণ। আমি যাব বগুড়া। সরকার নির্ধারিত বগুড়ার ভাড়া ৫৫৮ টাকা। কিন্তু তাড়া ভাড়া নিচ্ছে ১২০০-১৪০০ টাকা। তারপরও গাড়ি পাচ্ছি না। কোনোভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই হয়। ঈদের আনন্দটা পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই।

গাইবান্ধা যাবেন আবু সাইদ। তিনি বলেন, আমি পুরো পরিবার নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। আমার পরবারের পাঁচজন সদস্যের মধ্যে দুইজন গার্মেন্টসে কাজ করি। এখন বাস ভাড়া চাচ্ছে ১৪০০ করে। বাস ভাড়াই প্রায় ৭ হাজার। বাসা ভাড়া দোকান বিল তো আছেই। ফিরে আসবো কীভাবে চিন্তা করছি। এবার ঋণ করে ঢাকায় ফিরতে হবে। বাস ভাড়া যদি ঠিক নিতো তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা হতো না।

আলীনুর পরিবহনের চালক ইমরান বলেন, আমরা খুব বেশি ভাড়া নিচ্ছি না। বেশির ভাগ গাড়িই রিজার্ভে যাচ্ছে। বাইরের যাত্রী তোলার সুযোগ নেই। আর যারা স্ট্যান্ডে যাত্রী তুলছেন তারাই ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। ভাড়া না নিয়ে তো উপায় নেই। এখন রোড খরচ অনেক। ঈদে দুই টাকা চার টাকার জন্যই তো ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছি।

ভাড়া বেশির ব্যাপারে ঢাকা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরী সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মাত্র বলেন, ভাই আমি রাস্তার ওপরে। কিছুই শোনা যায় না। আমি ফ্রি হলে আপনি কল দিয়েন।

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর