সরকারি ছুটির আগে থেকে কোরবানি ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি উত্তরবঙ্গগামীদের। গত শুক্রবার থেকে মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বাড়ায় সেতুতে টোল আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সর্বশেষ ২৭ জুন মঙ্গলবার সেতুতে টোল আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে এবার ঈদে মোটরসাইকেল পারাপারেও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। একদিনে সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে ১৪ হাজার ১২৩টি।

এদিকে গত ঈদের তুলনায় ঈদুল আজহায় প্রায় দ্বিগুণ পরিবহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে। সেই সঙ্গে টোল আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।  

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার (২৩ জুন) হতে বুধবার (২৮ জুন) পর্যন্ত ৬ দিনে সেতুতে ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০টি পরিবহন পারাপার হয়েছে। এতে সেতু পূর্ব ও পশ্চিমে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০ টাকা। এরমধ্যে সেতুপূর্ব টোল প্লাজা অতিক্রম করে উত্তরবঙ্গের দিকে গেছে এক লাখ ৩৪ হাজার ১১০টি পরিবহন। এতে সেতুপূর্ব পাড়ে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৭২ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা। এছাড়া সেতুর পশ্চিম টোলপ্লাজা অতিক্রম করে ঢাকার দিকে গিয়েছে ৯০ হাজার ৬৫০টি পরিবহন। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ২৬ হাজার ৫০ টাকা।

এর আগে ঈদুল ফিতরের চারদিন আগে সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টা হতে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস, ট্রাক, পিকআপ, লরি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ১ লাখ ৩১ হাজার ১৭০টি পরিবহন পারাপার হয়েছিল। পারাপার হওয়া এসব পরিবহন থেকে টোল আদায় হয়েছিল ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা।

জানা গেছে, এবার ঈদে মহাসড়কে পরিবহন বিকল, সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ও অতিরিক্ত পরিবহনের চাপে টোল সিস্টেম বন্ধ হওয়ার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে উত্তরবঙ্গগামীদের। যানজটের কারণে মহাসড়কের অংশের ১৩ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। মানুষের এমন ভোগান্তি ও পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদের কয়েকদিন ধরেই পরিবহনের চাপ ছিল। এতে টোল আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগেরদিন টোল আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এসময় সব্বোর্চ সংখ্যক পরিবহন সেতু পারাপার হয়েছে।

অভিজিৎ ঘোষ/আরকে