যশোরের মনিরামপুরে মাছের আড়তের ম্যানেজার জসিম উদ্দিনকে (৩০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। পরকীয়া প্রেমিকের নির্দেশে ঘাতকরা জসিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে জানায় পুলিশ। শুক্রবার (৩০ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় যশোর ডিবি পুলিশ।

নিহত জসিম উদ্দিন মনিরামপুরের আখোকা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোড়লের ছেলে। আটককৃতরা হলেন, বারান্দী মোল্লাপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে নাসির হোসেন (৩০) ও বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে জাহিদ ওরফে ডুবার।

যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপণ কুমার সরকার জানান, মনিরামপুর বাজারের “ভাই ভাই গোল্ডেন ফিস” মাছের আড়তের ম্যানেজার জসিম গত ২৬ জুন যশোর শহরের ব্যাটারি পট্টিতে আসেন। এরপর মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক মেয়েকে সেখানে ডেকে এনে ফল কিনে মণিরামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সাড়ে ৭টার পর নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়ায় পৌঁছালে আসামিরা জসিমের মোটরসাইকেল থামিয়ে একের পর এক ছুরিকাঘাত করে সটকে পড়েন আসামিরা। পরে স্থানীয়রা জসিমকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জসিমের বাবা। এরপর থেকেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। 

তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার পর বারান্দি মোল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকা থেকে নাসির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে রাত আড়াইটায় বেজপাড়া তালতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহিদ ওরফে ডুবারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দুইটি চাকু ও ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি রুপণ কুমার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত আরেক পলাতক আসামি ইব্রাহিম ও তার খালা আনোয়ারা বেগম আনুর জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। আনোয়ারা আনুর সঙ্গে জসিমের পরকীয়া প্রেম ছিল। ওই আনুর নির্দেশে খুন করা হয় জসিমকে। আর সেজন্য আনু ৪০ হাজার টাকায় চুক্তি করেছিলো তার বোনের ছেলে ইব্রাহিমের সাথে। ইব্রাহিম তাদের বন্ধুদের সাথে নিয়ে খুন করেছিলো জসিমকে। পলাতক আসামিদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরকে