প্রতি বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের দেখা মিললেও এবারের চিত্র যেন সম্পূর্ণই বিপরীত। দেখা নেই আশানুরূপ পর্যটকদের।

হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য সময়ে ঈদের আগে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ বুকিং হলেও এবার বুকিং হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ঈদের পরের দিনও দেখা নেই আশানুরূপ পর্যটকের।

লাবনী পয়েন্টের ফুচকা ব্যবসায়ী আমান ঢাকা পেস্টকে বলেন, আমরা যে পরিমাণ পর্যটকের আশা করেছিলাম সে পরিমাণ পর্যটক আসেনি। বেচাকেনা তেমন নেই বললেই চলে।

হোটেল সী গাজীপুরের মালিক আব্দুল জাব্বার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের হোটেল বুকিং তেমন হয়নি। এই বছর একদম মন্দা যাচ্ছে। আমরা মনে করেছিলাম ঈদে পর্যটক পাব, কিন্তু হয়নি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটকসহ যারা দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণে এসেছেন তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানে টুরিস্ট পুলিশ রয়েছে।

গাড়ি থেকে নেমে সোজা সৈকতের পানিতে গা ভাসিয়েছেন আনিস দম্পতি। কক্সবাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও সন্তুষ্ট তারা। এদিকে হোটেল রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী, পাটুয়ারটেকসহ সব জায়গায় ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে শুক্রবার ও শনিবার পর্যটক কম হলেও আগামীকাল রোববার পর্যটক আগমনের হার কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদে আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়া কারণে পর্যটক আগমনের হার কমেছে। দুই দিনে অন্তত দুই লাখের বেশি পর্যটক সমাগম হলেও তাদের মধ্যে স্থানীয়দের সংখ্যাই বেশি।

সাইদুল ফরহাদ/এমজেইউ