শপথ গ্রহণের সময় মায়ের পাশে জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের জন্য সুপারিশ করেছেন জায়েদা খাতুন। শপথগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মেয়র জায়েদা। 

সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ নেন নবনির্বাচিত পাঁচ সিটি মেয়র। মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মেয়র জায়েদা খাতুন। তিনি ছেলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মেয়র জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওই সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব কথাই হয়েছে। তাদের (প্রধানমন্ত্রী ও মেয়র জায়েদা খাতুন) দুজনের কথা হয়েছে। এ নিয়ে আমার বলা কি ঠিক হবে? আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আপনারা অপেক্ষা করুন। ভালো কিছু দেখতে পাবেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে আসছি। সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গাজীপুরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছি। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার আস্থা ও ভরসার স্থান। গাজীপুরের জনগণ আমার সঙ্গে আছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আমি আওয়ামী লীগের জন্য এবং এই মহানগরীর উন্নয়নের জন্য মায়ের পাশে থেকে কাজ করে যাব।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জায়েদা খাতুন ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেন। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন পান ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পান ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

দেশের সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন গাজীপুরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে মেয়র হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এই সিটিতে গত ২৫ মের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু দল মনোনয়ন দেয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি তার মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। 

শিহাব খান/আরএআর