জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে আঁতাত করে বাঙালির পরাজয়ের খলনায়ক ছিল মিরজাফর আলী খান, ১৯৭১- এ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সদস্য ছিল এদেশের কিছু কুলাঙ্গার। আর এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করে বিদেশিদের উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের কিছু জনবিচ্ছিন্ন নাগরিক এবং ৭১-এ পরাজিত অপশক্তির নবসংস্করণ বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল। দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের উস্কে দেওয়া ব্যক্তিরা বাংলার নতুন মিরজাফর। এরা দেশদ্রোহী, এরা ক্ষমতালিপ্সু, এরা গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রু। এরা বিদেশি প্রভুদের সেবাদাস। এরা দেশের অর্থ লবিং ফিস হিসেবে বিদেশীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। 

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর জনগণ ও মূলধারার মিডিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু পশ্চিমা সরকারগুলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন অথবা পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যা দেখেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংস হত্যার পর রহস্যময় নিরবতা পালন করেছেন। 

রোববার জয়পুরহাট-২ আসনের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সরকরি অনুদান বিতরণ, ৫টি গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং পৃথক পৃথক ৮ টি দোয়া মাহফিল ও জন-আকাঙ্ক্ষা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এসব অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা, তিন উপজেলা চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, মোস্তাকিম মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ, তিন মেয়র সিরাজুল ইসলাম সর্দার, রাবেয়া খাতুন, শহীদুল আলম, আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, ক্ষেতলাল উপজেলা সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান নাদিম, কালাই উপজেলা সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং প্রত্যেক গ্রামের সাধারন নাগরিকবৃন্দ।

এমএএস