নেত্রকোনা-৪ আসনের এমপি রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অত্যন্ত সৎ ও আদর্শিক এই রাজনৈতিক অভিভাবক হারিয়ে শোকাহত দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নেত্রকোণার হাওরাঞ্চল অধ্যুষিত তিনটি উপজেলা মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী নিয়ে গঠিত নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন তিনি। 

এমপির মৃত্যুতে মোহনগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ দুইদিনের শোক ঘোষণা করেছেন বলে জানান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার কাজিয়াহাঁটি গ্রামের বাড়িতে এমপিকে শেষবারের মতো দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। গ্রামের বাড়িতে এমপির মরদেহ নিয়ে আসার পর সন্ধ্যা ৬টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ সমাহিত করা হবে বলে জানান স্বজনরা।

রেবেকা মমিন ১৯৪৭ সালের ১৫ মে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার স্বামী আব্দুল মমিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। আব্দুল মমিনের মৃত্যুর পর প্রথমবার ২০০৮ সালে নেত্রকোণা-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদ ইকবাল বলেন, রেবেকা মমিন ব্যক্তিগত জীবনে খুব সৎ ও আদর্শিক মানুষ ছিলেন। তিনি খুব সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তার পরিবার স্কুল, কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সাবরেজিস্ট্রি অফিস, বাজার, মসজিদ ও রেললাইন নির্মাণের জন্য ইতোপূর্বেও শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি বিনাশর্তে দান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর কাছে সৎ ও একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত রেবেকা মমিন সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে তার সম্পদের পরিমাণ কমেছে। দুই বছর আগে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে গৃহ ও ভূমিহীনদের নিয়ে আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার জন্য মোহনগঞ্জের কাজিয়াহাটি মৌজায় পারিবারিক সম্পত্তি থেকে ১ একর ৬৪ শতক জমি দান করেন।

মো. জিয়াউর রহমান/এএএ