কুঁড়েঘরেও এখন বিদ্যুতের আলো জ্বলে : মাহিয়া মাহি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, এখন প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে টিভি আছে, হাতে হাতে থাকা স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। কিন্তু আমাদের শৈশবের সময়ে কারো বাবার ফোন থাকলে তা রীতিমত গর্বের বিষয় ছিল। কিন্তু এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা সর্বশেষ বাড়ির ছেলেটার হাতেও ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এবং সেই ফোনে আমার অভিনীত গান শুনে সে বিনোদন পায়।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলহাটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশব্যাপী উন্নয়ন, সফলতা ও সম্ভাবনা প্রচার বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক ও সামাজিক সংগঠন স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাহিয়া মাহির আয়োজনে ভোলাহাট রামেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা গান অনুষ্ঠিত হয়।
মাহিয়া মাহিন বলেন, ৫০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থেকে বেড়ে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়েছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণেই এমন পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। সীমান্তের শেষ কুঁড়েঘরটিতেও এখন বিদ্যুতের আলো জ্বলে। সেখানে এখন আর মোমবাতি বা কুপি জ্বলে না। প্রধানমন্ত্রীর অবদানে আজ মোমবাতি-কুপির বদলে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে।
তিনি আরও বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাহলে তার নেতৃত্বাধীন দলকে ভোট দিব না তো কাকে ভোট দিব? সকলের প্রতি অনুরোধ করব, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাই দলে দলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও জয়যুক্ত করবেন।
উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে মাহি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে গৃহহীন-ভূমিহীনদের জমিসহ পাকাঘর উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপহারের ঘরে থাকা স্বামী যদি ঝগড়া করে নতুন আরেকটি বিয়ে করে তাহলে নতুন বউ সেই ঘরে আসবে না। আগের বউয়ের জন্যই বরাদ্দ থাকবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর।
আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাহিয়া মাহির স্বামী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রকিব সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন, ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন শাহ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসিকুজ্জামান প্রমুখ।
জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর