নীলফামারীর জলঢাকায় ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোটারকর্মীদের চা-নাস্তা পরিবেশন করছিলেন আমানুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যুবক। এ সময় হঠাৎ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার গোলনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আমানুল ইসলাম উপজেলার চিড়া ভিজা গোলনা নদীরপাড় এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ জুলাই গোলনা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে গোলনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসাইন আহম্মেদ আলমের বাবা মাওলানা মনছুর আলী টেবিলফ্যান প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই মাদরাসার কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে আমানুলকে দিয়ে টেবিল ফ্যান প্রতীকের ভোটার ও কর্মীদেরকে চা নাস্তা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তিনি ভোটার ও কর্মীদের জন্য বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করে চা তৈরি করছিলেন। এসময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কামরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যেতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে গোলনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসাইন আহম্মেদ আলমের মোবাইলফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানাতেই তিনি ফোন কেটে দেন।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যুর কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মরদেহ পরিবারের লোকজনের কাছে রয়েছে। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে।

শরিফুল ইসলাম/আরকে