জয়পুরহাটে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দুই ভাইসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও এপিপি উদয় সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই কাদিপুর গ্রামের মৃত আ. সালামের ছেলে আমিনুর ইসলাম, ঈদা মণ্ডলের ছেলে আ. কুদ্দুস ও আ. হান্নান, মানিকের ছেলে আনোয়ার, আছির উদ্দীনের ছেলে দুদু, মৃত আয়েজ উদ্দীনের ছেলে ঘুটু আলম ও আক্কেলপুরের লক্ষ্মীভাটা গ্রামের খাঁজামুদ্দিনের ছেলে ইয়াসিন আলী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী ফকিরপাড়ার রজব আলীর ছেলে আব্দুল আলীম কড়ই কাদিপুর গ্রামের  একটি পুকুরে রাতে পাহারাদারের কাজ করতেন। ২০০৯ সালের ৭ মার্চ রাতে আসামিরা চুরি করে পুকুরে মাছ ধরতে চাইলে আব্দুল আলীম নিষেধ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আসামিরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসলেমা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২২ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

অপরদিকে আক্কেলপুরের লক্ষ্মীভাটা গ্রামের ইয়াসিন আলীর স্ত্রী জোলেখা হাঁপানিসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। যার ফলে তিনি সংসারের কাজ তেমন করতে পারতেন না। এ নিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে প্রায় বকাঝকা করতেন। পরে ২০০০ সালের ১৭ এপ্রিল সকালে সংসারের কাজ করতে না পারায় জোলেখাকে তার স্বামী মারধর করে আক্কেলপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নওগাঁ হাসপাতালে নেওয়ার পথে জোলেখা মারা যান। মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এই দুইটি মামলার রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডিত সাতজনকে পুলিশি পাহারায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ খান।

চম্পক কুমার/এমজেইউ