সিলেটে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালানো ২ প্রবাসী কারাগারে

সিলেটে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালানো দুই লন্ডনফেরতকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা দুজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গয়াসপুর গ্রামের মো. আব্দুন নূর (৪২) ও বিশ্বনাথ উপজেলার চানপুর গ্রামের আলম হাসান রউফ (৩৬)।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে এই জরিমানা ও দণ্ড দেন। তিনি বলেন, ২২ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে আসা ১৪০ জন যাত্রীর মধ্যে তারাও ছিলেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নগরের দরগাহ গেটস্থ হোটেল স্টার প্যাসিফিকের ৭০৩ ও ৭০৪ নম্বর কক্ষে রাখা হয়।

এরপর ২৯ মার্চ তারা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন করেন। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল আসার আগেই মঙ্গলবার দুপুরে এই দুই ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন ভেঙে জোরপূর্বক হোটেল ত্যাগ করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা হোটেলে ফিরে আসেন।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন হোটেল স্টার প্যাসিফিকে ‌গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এদিকে চলিত মাসের শুরু থেকেই সিলেটে করোনার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সিলেটে এ বছরের সর্বোচ্চ ১০১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাজ্যফেরত প্রবাসীদের ১৪ দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, জরিমানা আদায়ের পর দণ্ডিতদের রাত ১০টার দিকে সিলেট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, নগরীর আম্বরখানাস্থ হোটেল ব্রিটেনিয়া থেকে একই পরিবারের ৯ সদস্য কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান। পরে তাদের মধ্যে থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ৬ জনকে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া নগরের লামাবাজারস্থ হোটেল লা ভিস্তায় কোয়ারেন্টাইনে থাকাবস্থায় যুক্তরাজ্য ফেরত এক যুবক বিয়ের অনুষ্ঠান সারেন। এ নিয়ে সিলেটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

তুহিন আহমদ/এসপি