ঝুমা বিশ্বাস

মেয়েকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেতে প্রশাসনিক দফতরে দফতরে ছুটছেন মা শিখা বিশ্বাস। সর্বশেষ সোমবার (১৭ জুলাই) তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার দপ্তরে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন।

এদিকে নিখোঁজ স্ত্রীর সন্ধান পেতে থানায় জিডি করেছেন বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য লিটন বিশ্বাস। তারা দুজনেই সন্ধান চাইছেন ৩২ বছর বয়সী ঝুমা বিশ্বাসের।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিখা বিশ্বাস দাবি করেছেন, ঝুমা ও লিটন প্রেম করে বিয়ে করে। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি লিটন পাশের বাড়ির এক মেয়ে সঞ্চিতার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে ঝুমার ওপর শুরু হয় অত্যাচার। বিভিন্ন সময়ই ঝুমাকে মেরে জখম করতো লিটন। সর্বশে গত শুক্রবার রাত থেকে আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেই। লিটন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়েকে জীবিত অবস্থায় চাই।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লিটন বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে আমি বাড়ির ঘাটলার দিকে ছিলাম। তখন অনেক কুকুর ডাকাডাকি করেছে। পরে আমি ঘুমিয়ে পরি। এরপর থেকে আমার স্ত্রীর কোনো খোঁজখবর নেই। সে কারও সঙ্গে পালিয়ে গেছে, না একা গেছে, জানি না। আমার ৪০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে সে। ঝুমাকে মারধর ও মেরে ফেলার অভিযোগ সর্ম্পকে লিটন বলেন, সব মিথ্যা কথা। এগুলো সত্য নয়।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, রোববার এক ইউপি সদস্য স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন। আমরা তদন্ত করে দেখছি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস