হাওরে দিনভর পিকনিক শেষে ফেরার পথে ট্রলারে ডাকাতির শিকার হয়েছেন ভৈরবের গজারিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সময় ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে ১২ জন আহত হন। হামলার পর ডাকাতরা নগদ দেড় লাখ টাকা, ৬৫টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) আনুমানিক রাত ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর ইউনিয়নের কুটুপী এলাকায় ঘোড়াউত্রা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবালের উদ্যোগে ট্রলারযোগে হাওর ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। হাওর ভ্রমণের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ ৮২ জন যাত্রী গজারিয়া এলাকা থেকে হাওর ভ্রমণ করতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এলাকা মিঠামইনে যান।

দিনভর হাওর ভ্রমণ শেষে ভৈরবে ফেরার পথে রাত ৮টার দিকে বাজিতপুর উপজেলার হুমায়পুর ইউনিয়নের কুটুপি এলাকায় পৌঁছালে ঘোড়াউত্রা নদীতে একটি দ্রুতগামী নৌকায় করে এসে প্রায় ১৭-১৮ জনের ডাকাত দল নেতাকর্মীদের বহনকারী ট্রলারটিতে হামলা করে। এ সময় ডাকাতরা ১২ জনকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে ৬৫টি মোবাইলসহ স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

হাওর ভ্রমণের আয়োজক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল মেম্বার বলেন, আমরা পিকনিক শেষে বিকেল বেলায় নেতাকর্মীসহ সবাই ভৈরবের উদ্দেশে রওনা হই। আমাদের ফেরার সময় পথিমধ্যে বাজিতপুরের কুটুপী এলাকার ঘোড়াউত্রা নদীতে পৌঁছালে একদল ডাকাত আমাদের চলন্ত ট্রলারে উঠে পড়ে। উঠেই তারা এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখায়। এ সময় ডাকাত দলে প্রায় ১৭-১৮ জনের মত লোক ছিল। ডাকাতরা ট্রলারে উঠেই চালককে বন্দি করে ট্রলারটি নদীতে থামিয়ে দেয়। এ সময় তারা যাত্রীদের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা, ৬৫টি মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। এই মাঝ নদীতে তৎক্ষণাৎ আমাদের কিছুই করার ছিল না।

তিনি আরও বলেন, ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে ৫ জন ও মারধরে ৭ জনসহ মোট ১২ জন আহত হয়েছেন। পরে আমাদের ট্রলারের যাত্রীরা ভৈরবে ফিরতে রাত সাড়ে ১০ টা বেজে যায়।

বাজিতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে যে স্থানে ডাকাতি হয়েছে সেই স্থানটি আমাদের এলাকা নয়। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের জেলার নয় তাই আমাদের এখানে কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা আমাদের নৌ পুলিশকে মুভমেন্টে থাকার জন্য বলেছি।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এএএ