কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গেলেন মাহবুব উল আলম হানিফ

হেফাজতে ইসলামের মতো ধর্ম ব্যবসায়ী দলের ওপর ভর করে বিএনপি ও জামায়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি।

২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন হেফাজতকর্মীরা। হেফাজতকর্মীরা কয়েকজন সাংবাদিকের ওপরও হামলা চালান। 

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলব; যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে স্বাধীন রাষ্ট্রে এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো যাবে না। ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। আমরা কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডব পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এমন একটা সময় স্বাধীনতার ৫০ বছরের পূর্তি হচ্ছে, যখন বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের কারণে আলোচিত। আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে কালেমা লেপনের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত এবং হেফাজত এ কাজ করেছে। একটা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে কালেমা লেপনের চেষ্টা করেছে তারা।

তিনি আরও বলেন, হেফাজতের যারা এখানে আছেন, তাদের কাছে তো গানপাউডার থাকার কথা না। গানপাউডারের ব্যবহার আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি। আর দেখেছি জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এখন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে গানপাউডারের ব্যবহার দেখে পরিষ্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত এবং বিএনপি। তারাই এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।

হানিফ বলেন, গত মার্চ মাসের শুরু থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া ঠিক হবে না, বাধা দেবে- এ ধরনের বক্তব্য যেসব ধর্ম ব্যবসায়ী দল দিচ্ছে, তাদের উসকে দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন, ২০২১ সালের মধ্যে সরকার পতন হবে। তারা কিসের ওপরে ভিত্তি করে সরকার পতনের আশা প্রকাশ করছে? দেশে তো বিএনপির সাংগঠনিকভাবে এমন কোনো তৎপরতা নেই, যেটা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তাদের নিজেদের সক্ষমতা নেই, তারা এখন ধর্ম ব্যবসায়ী দল হেফাজত ও জামায়াতের ওপর ভর করেছে। ভর করেছে বলেই তারা এ ধরনের কথা (সরকার পতন) বলছে।

এ সময় মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মো. আলআমিনুল হক প্রমুখ

পরে মাহবুব উল আলম হানিফ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল নিয়ে হেফাজতকর্মীদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন।

আজিজুল সঞ্চয়/এএম