চিকিৎসা করানোর টাকা নেই ঠাকুরগাঁওয়ের শংকর মোদকের
‘হান্টিংটনস কোরিয়া’ নামের বিরল এক রোগে আক্রান্ত ৫৪ বছর বয়সী শংকর মোদক। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শংকর পেশায় ছিলেন হোটেল কর্মচারী। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তার সংসার। বছর ছয়েক আগে হঠাৎ এই বিরল রোগের লক্ষণ দেখা দেয় শংকরের শরীরে।
অস্বাভাবিকভাবে মাথা বেঁকে গিয়ে নুয়ে পড়া, শরীরে কাঁপুনি আর ব্যথায় ছটফট করলে প্রথমে সঞ্চিত অর্থ ও পরবর্তীতে প্রতিবেশীর সহায়তায় দিনাজপুর, রংপুর ও সর্বশেষ ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিরল এ রোগের চিকিৎসা ভারতসহ উন্নত দেশগুলোতেই সম্ভব। তবে এটা কিছুটা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি।
শংকরের স্ত্রী দিপালী রানি কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে আমার স্বামীর দিনমজুরির কষ্টে অর্জিত সব টাকাই শেষ করে দিয়েছি। এখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। প্রচুর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দুই ছেলের পড়াশোনা চলছে। অন্যদিকে অসুস্থ স্বামীকে সুস্থ করে তুলতে হলে নিয়ে যেতে হবে ভারতে। চিকিৎসকরা বলেছেন তাকে এ রোগ থেকে সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু আমাদের পক্ষে এ বিপুল অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করছি।
বিজ্ঞাপন
শংকর মোদকের বড় ছেলে নয়ন মোদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, হোটেলে কাজ করেও বাবা আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে গেছেন। হঠাৎ করে বাবার শরীরে এ রোগ দেখা দেওয়ায় আমাদের পুরো পরিবারটি শেষ হয়ে গেলে। এখন পরিবারের সবার খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। বাবার চিকিৎসা করাব কীভাবে? এখন এই বাড়িটুকুই আছে। আমরা এখন কী করবো জানি না।
৮নং রহিমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল হান্নান হান্নু ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি (শংকর মোদক) একজন অসুস্থ মানুষ। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা অসচ্ছল। আমি চাই সরকারের পাশাপাশি যারা সামর্থ্যবান রয়েছেন আপনারা যদি তার চিকিৎসার প্রয়োজনে এগিয়ে আসেন আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
শংকর মোদককে সাহায্য পাঠাতে চাইলে তার ছেলে নয়ন মোদকের 01317372096 নম্বরে (বিকাশ ও নগদ) যোগাযোগ করা যাবে।
আরিফ হাসান/এমজেইউ